মৌর্য্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্তের সভায় গ্রিক দূত মেগাস্থিনিস দেখেছিলেন ফুলেল সৌকর্যের এক অসাধারণ মসলিন। ধারণা করা হয়, মেগাস্থিনিস যে মসলিন দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন, সেটি আসলে রূপগঞ্জের রূপসী জামদানি। খুব উন্নতমানের পানপাত্রের নাম জামদানি। ফার্সি ভাষায় জাম এক প্রকার উৎকৃষ্ট মদের নাম এবং দানি অর্থ পেয়ালা, যা খুবই শিল্পমণ্ডিত। দেয়াশলাই বাক্সে এঁটে যাওয়া বারোহাতি এই নমনীয় পট্রবস্ত্র এবং ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞীদের খুবই পছন্দের। রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যা পাড়ের নোয়াপাড়াই হলো এর সূতিকাগার। জামদানিশিল্প অদ্বিতীয় মূলত দুটি কারণে। প্রথমত, এর রয়েছে বৈশিষ্ট্যমূলক জ্যামিতিক প্যাটার্নের ধারাবাহিকতা। দ্বিতীয়ত, এর মোটিফ, যা বুননের সময়েই কাপড়ে খুব সুন্দরভাবে গেঁথে যায়। জামদানি মোটিফের বয়ন কৌশল অভিনব এবং একই সঙ্গে জটিল। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, লন্ডনসহ বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার জামদানি রপ্তানি করা হয়। ১৯৭৫ সালেও এখানে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার জামদানি তাঁতি ছিলেন। বর্তমানে এক থেকে দেড় হাজার পরিবার এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। রূপগঞ্জ উপজেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্যে "তথ্য আপা" প্রকল্পের কার্যক্রম রয়েছে। যা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। তথ্যকেন্দ্রের অফিসিয়াল নাম্বার- 01820706118 ও ঠিকানা- তথ্যকেন্দ্র, তথ্য আপা প্রকল্প (২য় পর্যায়) রূপগঞ্জ উপজেলা শাখা পোষ্ট অফিস সংলগ্ন, পোষ্ট কোড ১৪৬৪, রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ।