বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা রাঙামাটি। এই জেলাটি বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা হিসাবে পরিচিত। এ অঞ্চলের অর্থনীতি জুম নির্ভর। জুম চাষ হচ্ছে পাহাড়ের ঢালে এক বিশেষ ধরণের চাষাবাদ পদ্ধতি। পাহাড়ি মানুষের ঐতিহ্যবাহি এই ‘জুম’ শব্দটি থেকে চাকমা ভাষায় ‘জুমিয়া’ (জুম চাষী) ও জুম্ম (পাহাড়ি জনজাতি) শব্দটির উৎপত্তি। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান-এই তিন জেলা নিয়ে গড়ে ওঠা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় ৯০ শতাংশ পাহাড়িই জুম চাষী। জুমে সাধারণত ধান, তুলা, তিল, ভূট্টা, আলু, মিশ, যব, বেগুন, লাউ, আদা, হলুদ, চালকুমড়া, মরিচ, পুঁইশাক, করলা, মেটে আলু ইত্যাদি ফসল উৎপন্ন হয়। এখানকার প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে আদা, হলুদ, কচু, কাঁঠাল, আনারস, আম, কলা, মরিচ, পেঁপেঁ, সরিষা, কাজুবাদাম ইত্যাদি। এছাড়া চা চাষের জন্য এতদঞ্চলের মাটি খুবই উপযোগী। বাঁশ ও বেতের কাজ এ অঞ্চলের অন্যতম শিল্প। বাঁশ ও বেতের তৈরি সামগ্রির মধ্যে কাল্লোং, বারেং, পুল্লেং, ডুল, কুলা, ডুলা, লেই, তলই, সেরি, তেরা চেই, বিজন, খারাং, মারাল্লে, দোলনা, সাম্মো ইত্যাদি অন্যতম। বাজারে এসবের চাহিদাও রয়েছে।রাঙ্গামাটি জেলার আরেকটি উল্লেখযোগ্য শিল্প হচ্ছে হাতির দাঁতের অলংকার ও কারুপণ্য। এ শিল্প কারিগরি মানে খুবই উৎকর্ষতা লাভ করেছে। তবে হাতির দাঁত সহজলভ্য না হওয়ায় এ শিল্প প্রসার লাভ করতে পারছে না।রাঙামাটি সদর উপজেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্যে "তথ্য আপা" প্রকল্পের কার্যক্রম রয়েছে। যা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। তথ্যকেন্দ্রের অফিসিয়াল নাম্বার- 01313704536 ও ঠিকানা- তথ্যকেন্দ্র, সদর রাঙামাটি, অপরাজিতা ভবন, দক্ষিণ কল্যানপুর।