কাউনিয়া বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের রংপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। রংপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থে বলা হয়েছে, অতিতে এখানে কাউনিয়া নামে একটি ঐতিহ্যবাহী বর্ধিষ্ণু গ্রাম ছিল। যা তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে বিলিন হয়ে গেছে। উক্ত গ্রামের নাম অনুসারে এ এলাকার নাম হয়েছে কাউনিয়া।
এছাড়াও ছিয়াত্তরের মম্বন্তর বা দুর্ভিক্ষের সময় রংপুরে খাদ্যশষ্য আমদানি করার জন্য ব্যবহৃত গরুর গাড়ীকে বলা হত কাউকার্ট। এই কাউকার্ট শব্দ থেকে অপভ্রংশের মধ্য দিয়ে কাউনিয়া নামের উৎপত্তি হয়েছে বলেও জনশ্রুতি আছে।
বর্তমানে কাউনিয়া উপজেলার বেশ কিছু অংশ তিস্তা নদীতে মিশে গেছে। এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজে লিপ্ত থাকে। কাউনিয়া উপজেলার পাশ দিয়ে তিস্তা নদী বয়ে যাওয়ায় এখানকার মাটি উর্বর এবং প্রচুর ধান উৎপাদিত হয়। বছরে দুবার ধান চাষ করা হয়। আমন চাষ পদ্ধতি এবং ইরি চাষ পদ্ধতি। এখানে কলা প্রচুর জন্মে। এখনকার কলা সারা বাংলাদেশে চালান হয়। কলা চাষের পাশাপাশি সবজি চাষ এখানকার মানুষের অর্থনীতির অন্যতম ক্ষেত্র।
কাউনিয়া উপজেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্যে "তথ্য আপা" প্রকল্পের কার্যক্রম রয়েছে। যা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। তথ্যকেন্দ্রের অফিসিয়াল নাম্বার-1313704365
ও ঠিকানা-তথ্যকেন্দ্র (পুরাতন উপজেলা পরিষদ ভবনের বিপরীতে), উপজেলা পরিষদ চত্বর, কাউনিয়া, রংপুর।