ভোলার প্রেমে মত্ত হয়ে কবি ইমাদ (অনাদরি) লিখেছেন- নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে থাকি,চতুর্দিকে জলঘোলা,সবুজে শ্যামার কোলে,এই দ্বীপাঞ্চল ভোলা। সোনালি ইলিশ ধরে মেঘনার ভরা জালে,মনের চাহিদা মেটে ধরে মাছ কালে কালে। ভোলার নামকরণের পেছনে স্থানীয়ভাবে একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। ভোলা শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বেতুয়া নামক খালটি এখনকার মত অপ্রশস্ত ছিলনা। থুব বুড়ো এক মাঝি খেয়া নৌকার সাহায্যে লোকজনকে পারাপারের কাজ করতো। তার নাম ছিল ভোলা গাজি পাটনি। আজকের যোগীর ঘোলের কাছেই ছিল তার আস্তানা। এই ভোলা গাজির নামানুসারেই একসময় নামকরণ হয় ভোলা।এখন Venture Energy Resource নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করায় শিল্প গড়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে এখানে প্লাষ্টিক, মোম, জুতা ,আলকাতরা ইত্যাদি ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে উঠছে। এখানকার অধিকাংশ (প্রায় ৮০%) লোক মৎস্যজীবি, তাই এখানে কিছু বরফকল গড়ে ওঠেছে। তবে বোরহান উদ্দিনে প্রাপ্ত গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ করে দিলে এ জেলায় শিল্প বিকাশের সম্ভাবনা আরও বাড়বে। এ উপজেলায় ফারিত হ্যাচারী নামক একটি বড় আকারের কৃষি ফার্ম রয়েছে। সমস্যা ও সম্ভাবনার বেদীমূলে দাঁড়িয়ে আজকের ভোলা তাকিয়ে আছে সামনের দিকে। খাদ্যে উদ্বৃত্ত ও রূপালী ইলিশ সমৃদ্ধ হলেও ঝড়-জ্বলোচ্ছাস ও নদী ভাঙ্গনের তান্ডবকে নিয়তির অমোঘ বিধান বলে মেনে নিয়েছে এখানকার মানুষ। তাই বলে তারা থেমে থাকেনি। একটি সুন্দর ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে তারা অবিশ্রান্ত পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলছে আলোর পথে। বর্তমানে ভোলা উপজেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্যে "তথ্য আপা" প্রকল্পের কার্যক্রম রয়েছে। যা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। তথ্যকেন্দ্রের অফিসিয়াল নাম্বার- 01313704322 ও ঠিকানা- তথ্যকেন্দ্র, তানিয়া কটেজ, উপজেলা সড়ক, ভোলা সদর, ভোলা।